ঢাকা , শুক্রবার, ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫ , ২১ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
সবাইকে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে একই ‘প্রেমিকের’ সঙ্গে পালালেন দুই জা খাদ্য, পানি, বায়ু ও প্রকৃতি সুরক্ষায় বিনিয়োগ বাড়াতে হবে : রিজওয়ানা হাসান কন্টেন্ট তৈরির সুযোগ দিচ্ছে পাবজি গেম পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী ৬ সেপ্টেম্বর সেই তন্বীর সম্মানে ডাকসুর গুরুত্বপূর্ণ পদ ছেড়ে দিল ছাত্রদল ইসরায়েলি হামলা ও অনাহারে গাজায় নিহতের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ৬২ হাজার রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধবিরতির কোনো প্রয়োজন নেই: ট্রাম্প শহীদ জিয়াউর রহমান বাংলাদেশের গুণগত পরিবর্তনের কারিগর: মাহফুজ আলম লাইনচ্যুত ট্রেন উদ্ধারে গিয়ে উদ্ধারকারী ট্রেনও লাইনচ্যুত ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় দুই কোটি টাকার ভারতীয় শাড়ি-লেহেঙ্গা জব্দ প্রেসিডেন্ট হওয়ার খবর উড়িয়ে দিলেন পাকিস্তানের সেনাপ্রধান বিদেশে বাংলাদেশি সব মিশন থেকে রাষ্ট্রপতির ছবি সরানোর নির্দেশ যেসব জেলায় বৃষ্টি হতে পারে আজ ফারুকীর সর্বশেষ অবস্থা জানালেন তিশা গাজায় ২৪ ঘণ্টায় আরও ৭০ ফিলিস্তিনিকে হত্যা করল ইসরাইল শেখ হাসিনা গণশত্রুতে পরিণত হয়েছে: এ্যানি পাঁচ মেডিকেল কলেজে হচ্ছে বার্ন ইউনিট শেখ মুজিব জাতির পিতা নন, স্বাধীনতায় তার ত্যাগ স্বীকার করি: নাহিদ করমর্দন করলেন ট্রাম্প ও পুতিন ভোলাগঞ্জের পাথর লুটের ঘটনায় মামলা, অজ্ঞাতনামা আসামি ২ হাজার

বঙ্গোপসাগরে 'হংকং' বানাচ্ছে ভারত

  • আপলোড সময় : ১৭-১২-২০২৪ ০৬:১৭:১৬ অপরাহ্ন
  • আপডেট সময় : ১৭-১২-২০২৪ ০৬:১৭:১৬ অপরাহ্ন
বঙ্গোপসাগরে 'হংকং' বানাচ্ছে ভারত
ভারতের আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জের গ্রেট নিকোবর দ্বীপে চীনের হংকং-এর আদলে বিশাল উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নের ঘোষণা করেছে ভারত সরকার। ৭২ হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্পে ট্রান্সশিপমেন্ট হারবার, বিদ্যুৎকেন্দ্র, বিমানবন্দর এবং নতুন শহর গড়ে তোলার পরিকল্পনা রয়েছে। তবে বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করেছেন যে, এই প্রকল্পের বাস্তবায়ন স্থানীয় পরিবেশ এবং উপজাতি গোষ্ঠীর জন্য মারাত্মক প্রভাব ফেলতে পারে।

এই প্রকল্পে প্রায় ১৬৬ বর্গকিলোমিটার জমি ব্যবহারের পরিকল্পনা রয়েছে, যা মানে ৯ লাখের বেশি গাছ কাটা পড়বে। গ্রেট নিকোবর দ্বীপের ৮০ শতাংশ রেইনফরেস্ট এবং এর বাসিন্দা প্রায় ১৮০০ প্রাণী ও ৮০০ উদ্ভিদ প্রজাতি হুমকির মুখে পড়বে। বিশেষজ্ঞরা আশঙ্কা করছেন, শোম্পেন উপজাতি গোষ্ঠীসহ বিচ্ছিন্ন উপজাতিদের জীবনযাত্রা বিলুপ্তির দিকে চলে যেতে পারে। 

নৃতত্ত্ববিদ অ্যানস্টিস জাস্টিন, যিনি দীর্ঘ সময় ধরে এই দ্বীপে কাজ করছেন, বলেছেন, "এই প্রকল্প উপজাতি গোষ্ঠীগুলোর জন্য মৃত্যু পরোয়ানার মতো। বহির্বিশ্বে টিকে থাকার ক্ষমতা তাদের নেই।" এই প্রকল্পের কারণে মালাক্কা প্রণালীর কাছাকাছি থাকা দ্বীপপুঞ্জের বাস্তুতন্ত্র এবং সামুদ্রিক জীববৈচিত্র্যও মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে, বিশেষ করে দৈত্যাকার লেদারব্যাক সামুদ্রিক কচ্ছপ এবং লবণাক্ত জলের কুমিরের মতো প্রজাতি।

পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে যে, প্রকল্পটি পরিবেশগত ছাড়পত্র পেয়েছে এবং এর ফলে উপজাতিদের "বিরক্ত বা বাস্তুচ্যুত" করা হবে না। তবে পরিবেশবাদী এবং বিশেষজ্ঞদের দাবি, প্রকল্পটির প্রকৃত প্রভাব সরকারের অনুমানের চেয়ে অনেক বেশি হতে পারে।

২০০৪ সালের সুনামির পর নিকোবারিজ উপজাতিদের বাস্তুচ্যুত হতে হয়েছিল, যা তাদের জীবনে গভীর প্রভাব ফেলেছিল। এবার এই প্রকল্পের ফলে শোম্পেন গোষ্ঠীর জন্য একই ধরনের বিপর্যয়ের আশঙ্কা করা হচ্ছে। বিশেষজ্ঞরা এবং স্থানীয় বাসিন্দারা এই প্রকল্প পুনর্বিবেচনার আহ্বান জানিয়েছেন, কারণ এর পরিবেশগত ও মানবিক প্রভাব অত্যন্ত গুরুতর হতে পারে।

কমেন্ট বক্স
সর্বশেষ সংবাদ
সবাইকে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে একই ‘প্রেমিকের’ সঙ্গে পালালেন দুই জা

সবাইকে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে একই ‘প্রেমিকের’ সঙ্গে পালালেন দুই জা